একাদশ শ্রেণির ভর্তির প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন 24-06-2024 থেকে 29-06-2024 পর্যন্ত করা যাবে || ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক ১০০ সিট সমৃদ্ধ আবাসিক সুবিধা বিদ্যমান || ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে "একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৪" অনুযায়ী ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ (প্রথম পর্যায়) ২৬/০৫/২০২৪ (রবিবার) থেকে ১১/০৬/২০২৪ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চলবে। || ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের গোল্ডেন A+ প্রাপ্তদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে ও A+ প্রাপ্তদের অর্ধবেতনে পড়ার সুযোগ। || ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ২৬-০৫-২০২৪ তারিখ হইতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপে অনলাইনে বিনামূল্যে কলেজ থেকে আবেদন করা যাবে। ||

HISTORY OF THE COLLEGE

Page Image

প্রফেসর ড. আনোয়ারা বেগম চেয়ারপার্সন, ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, মুন্সীগঞ্জ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও-এ প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন । তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অনুমোদন সাপেক্ষে ঢাকা থেকে ২৫ কি.মি. দূরে অত্যন্ত নান্দনিক পরিবেশে মুন্সিগঞ্জ জেলার নয়াগাঁও-এ ধলেশ্বরী নদীর তীরে ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র ২০২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ । চমৎকার অবকাঠামোগত স্বতন্ত্রধর্মী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ২২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে । ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ভার্সনে পড়ার সুযোগ আছে এবং প্রভাতি ও দিবা দুটি শিফট রয়েছে । শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ সভাপতি এবং সেনাহাহিনীর এডুকেশন কোর এর একজন কর্মকর্তা অধ্যক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন । শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয় । এ প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত দিকটি সত্যিই চমৎকার । চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনে রয়েছে ৩৩ টি কক্ষ, ৪ টি বিজ্ঞান ল্যাবরেটরি, ১টি লাইব্রেরি, ১টি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, ভূগোল ল্যাবরেটরি, ১টি কনফারেন্স রুম, অধ্যক্ষের কক্ষসহ ৩ টি অফিস কক্ষ, ৩টি শিক্ষক কমনরুম এবং ২টি মাল্টিমিডিয়া কক্ষ । একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি উন্নতমানের খাবার, প্রিপারেটরি ক্লাসের সুবিধা, ২৪ ঘন্টা শিক্ষকদের তত্ত্বাবধান, ধুপি ও খেলাধুলাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০০ আসন বিশিষ্ট পৃথক দুটি আবাসিক হোস্টেল রয়েছে । আরও রয়েছে দ্বিতল ভবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতিফলিত ব্যতিক্রমধর্মী শহিদ মিনার । এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ রয়েছে । কলেজ ক্যাম্পাসে রয়েছে ১টি বড় আম বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর বৃক্ষ ও ঋতু ভেদে চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির ফুল । সবকিছু মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিরল । জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি-তে ড. ইয়াজউদ্দিন কলেজ ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে আসছে। আমাদের সফলতার এ ধারাকে অব্যাহত রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করণের জন্য নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্লাস, জটিল বিষয়গুলোর জন্য গ্রুপভিত্তিক শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকগণের তত্তাবধানে রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে । শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অবিভাবকগনের চেষ্টা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয় । ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর মেধা তালিকা অনুযায়ী বিগত ৩ বছর যাবৎ আমরা জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে আসছি । ২০১৬ সালে জে.এস.সি পরীক্ষায় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি প্রাপ্তি হয় । ২০১৬ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় ৯৩ জনের মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি হয় । উল্লেখ্য বিজ্ঞান বিভাগের ৫১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে । মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এই প্রতিষ্ঠানটি ফলাফল ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই আমাদের কলেজটি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে ।